• বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ ||

  • আষাঢ় ১২ ১৪৩১

  • || ১৮ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:

ঝালকাঠিতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০২৪  

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ সাঈদুল ইসলাম নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মোল্লারহাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কবির হোসেন (৪০) তার ভাই দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার (৪৫) সহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ রহিবুল ইসলাম আসামীদের উপস্থিতিতে বুধবার দুপুরে এই রায় ঘোষনা করেন।

মামলায় অপর সাজাপ্রাপ্তরা হলেন কবির হোসেনের ভাগ্নে সাঈদুল ইসলাম (৩০) ও ফারুক মল্লিক (৪৫)। রায়ে দন্ডপ্রাপ্ত চারজনকে দশ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদন্ডের আদেশ দেয়া দেয়া। মামলায় চার্জশিটভুক্ত অপর দশ আসামীকে খালশ প্রদান করা হয়। ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত কৌসুলি আব্দুল মান্নান রসুল রায় ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কবির হোসেন ও দেলোয়ার হোসেন নলছিটি উপজেলার দক্ষিন কামদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং সাবেক এমএলএ মরহুম মোকিম হাওলাদারের পুত্র এবং ফারুক মল্লিক পশ্চিম কামদেবপুর গ্রামের সুলতান মল্লিক ও সাইদুল ইসলাম খান মধ্য কামদেবপুর গ্রামের মনিরুল খানের পুত্র।

আদালতের নথি সূত্রে প্রকাশ, ২০১৯ সালের ২৩ মার্চ দুপুর ১টায় নাচনমহল ব্রিজের ঢালে মামলার বাদী নলছিটি উপজেলার নাচনমহল গ্রামের কৃষক আব্দুল আজিজ তালুকদার এর ছেলে সাইদুল ইসলাম তালুকদার (৩৫)  কে দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। একই সময় নিহত সাঈদুলের বোন আকলিমা বেগম ও ভাগ্নে রুম্মানকে কুপিয়ে আহত করা।

এ বিষয়ে নিহত সাঈদুলের পিতা আব্দুল আজিজ তালুকদার (৮৫) বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামী করে নলছিটি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঝালকাঠি সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক মং চেনলা ২০২০ সালের ২৮ মার্চ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে উল্লেখিত রায় ঘোষণা করেন।

সিআইডি পুলিশ অভিযোগপত্রে উল্লেখ করে নিহত কানবালা সাইদুল ও আসামী কবির হোসেন এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ছিল এবং একসময় সাবেক চেয়ারম্যান কবির হোসেন হাওলাদার ও নিহত সাঈদুল এক সাথেই নানা অপকর্ম করত। নিহত সাঈদুল কবির হোসেনের ছত্রছায়া থেকে বের হয়ে গেলে প্রতিহিংসার সূত্র ধরেই কবির হোসেন তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সরকার পক্ষে পিপি আব্দুল মান্নান রসুল ও আসামীপক্ষে এড. নাসির উদ্দিন কবির মামলা পরিচালনা করেন।