• সোমবার ০৮ জুলাই ২০২৪ ||

  • আষাঢ় ২৩ ১৪৩১

  • || ৩০ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ
ব্রেকিং:
সর্বজনীন পেনশনে যুক্ত হতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান শেখ হাসিনার পড়াশোনা নষ্ট করে কোটাবিরোধী আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই পিজিআরকে ‘চেইন অব কমান্ডে’র প্রতি আস্থাশীল থেকে অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের নির্দেশ রাষ্ট্রপতির টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিতে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির ফলে টেকসই কৃষি প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত হয়েছে এমডি পদের জন্য এত লালায়িত কেন, কী মধু আছে: প্রধানমন্ত্রী একটা সিদ্ধান্ত তাদের খবরদারির মানসিকতা বদলে দিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমারকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন ট্রানজিট তো অলরেডি দেওয়া আছে, ক্ষতিটা কী হচ্ছে? ২০৩৫ সালের মধ্যে পরীক্ষামুলকভাবে হাইড্রোজেন জ্বালানি ব্যবহার হবে

মেট্রোরেল ও কুয়াকাটা রেলপথে ঋণ দিতে আগ্রহী চীন

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ৪ জুলাই ২০২৪  

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেলপথ ও গাবতলী থেকে সদরঘাট হয়ে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণে ঋণ দিতে আগ্রহী চীনের এক্সিম ব্যাংক। এ দুটিসহ মোট ৯টি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ সফররত চীনের এক্সিম ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বুধবার (৩ জুলাই) সকালে বৈঠক করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। ইআরডির সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় ইআরডির অতিরিক্ত সচিব মিরানা মাহরুখ নেতৃত্ব দেন।

মেট্রোরেল প্রকল্পে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। এতে চীনের এক্সিম ব্যাংক প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা দেবে। এটি মেট্রোরেল-২ নামে পরিচিত।

সভায় চীনের এক্সিম ব্যাংকের অর্থায়নে কী ধরনের প্রকল্প নিতে আগ্রহ বাংলাদেশ তা জানানো হয়। সভায় ৯টি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়। মেট্রোরেল ছাড়াও ভাঙ্গা থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের প্রকল্পেও চীনের আগ্রহী বেশি। জানা গেছে, এই প্রকল্পে ৪১ হাজার কোটি খরচ হবে।

এছাড়া পিরোজপুরে কচা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ এবং মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর সেতু মেরামতে চীনের এক্সিম ব্যাংক থেকে অর্থ পেতে চায় বাংলাদেশ। চীনা ঋণ পেতে রেলের আরও যেসব প্রকল্পের তালিকা করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে আছে গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে জামালপুর পর্যন্ত মিশ্র গেজ রেলপথ নির্মাণ, পাবনার ঢালারচর থেকে ফরিদপুরের পাচুরিয়া পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ, রাজবাড়ীতে একটি রেলওয়ে ওয়ার্কশপ নির্মাণ এবং ভৈরববাজার থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত মিটারগেজ লাইন মিশ্র গেজে রূপান্তর।

এদিকে চীনের কাছ থেকে ৫০০ থেকে ৭০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ চীনা মুদ্রায় পাওয়া নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ ধরনের বাণিজ্য সহায়তা কিংবা বাজেট সহায়তা অন্য দেশ বা সংস্থা থেকে নিলে সুদের হার কত, গ্রেস পিরিয়ডসহ মেয়াদ কত বছর, এসব তথ্য জানানো হয়। চীনের মুদ্রা ইউয়ানে ঋণ নিয়ে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের আদলে একটি তহবিল গঠন করা হতে পারে। সেখানে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের চীন থেকে আমদানির বিপরীতে ইউয়ানে অর্থ পরিশোধ করা হবে।

নানা প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশকে এ যাবত ১০ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ঋণ-অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন। এর মধ্যে ঋণ ছাড় হয়েছে ৬ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ছাড় হওয়ার অর্থের মধ্যে ১০ কোটি ডলার অনুদান।