• সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ ||

  • আষাঢ় ১৭ ১৪৩১

  • || ২৩ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

বেনজীরের পিএইচডি ডিগ্রি বাতিলে ঢাবি সিনেটরদের প্রস্তাব

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০২৪  

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের পিএইচডি ডিগ্রি বাতিলে সিনেটে প্রস্তাব করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেট সদস্যরা। বুধবার (২৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে বৈঠকে সিনেটের অন্তত তিন সদস্য এ প্রস্তাব করেন।

সভায় সিনেট সদস্যরা, বেনজীর আহমেদ ভর্তির যোগ্যতা পূরণ না করলেও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি পেয়েছেন বলে জানান।

বেনজীরের পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে সম্প্রতি এক দৈনিক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বেনজীর আহমেদ ২০১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। ডিগ্রি পাওয়ার পর তিনি তার নামের শুরুতে 'ড.' ব্যবহার শুরু করেন। তবে বেনজীরের পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা ছিল না। তাকে ভর্তির জন্য অনিয়ম করে যোগ্যতার শর্ত শিথিল করা হয়েছিল। তিনি বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ থেকে ডক্টর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিবিএ) ডিগ্রি অর্জন করেন। এ প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য প্রয়োজন স্নাতক ডিগ্রি। এ প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষায় কমপক্ষে ৫০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে, যা বেনজীরের ছিল না।

সিনেট সদস্য রণজিৎ কুমার সাহা, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম ওয়াহিদুজ্জামান, অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বেনজীরের ডিগ্রি বাতিলের প্রস্তাব করেন।

এদিকে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাবির বার্ষিক সিনেট অধিবেশন-২০২৪। বিকেল থেকে ঢাবির নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল চেয়ারম্যান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত: একের পর এক অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠলে গত মে মাসের শুরুতেই বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যরা দেশ ছাড়েন। এদিকে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ২৮ মে দুদকে হাজির হতে চিঠি দেয়া হয় সংস্থাটির পক্ষ থেকে। সময় নির্ধারণ করা হয় ৬ জুন। কিন্তু সেদিনও আসেননি তিনি। প্রতিনিধির মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়ে সময় আবেদন করেন। যা নিশ্চিত করেছিলেন দুদক চেয়ারম্যান মাইনুদ্দিন আব্দুল্লাহ। দুদক চেয়ারম্যান জানিয়েছিলেন, অজ্ঞাত ব্যক্তি বেনজীরের হয়ে সময় চেয়ে আবেদনপত্র জমা দিয়ে গেছেন দুদকে। তার ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সময় দিয়ে পুনরায় ২৩ জুন দুদকে হাজির হতে তলব করা হয়  তাকে, সেদিনও আসেননি তিনি। মূলত বেনজীর কোথায় আছেন, সে বিষয়েও নিশ্চিত কোনো তথ্য দিতে পারছেন না কেউই।