নেবুলাইজার কেন ব্যবহার করা হয়?
পিরোজপুর সংবাদ
প্রকাশিত: ১৯ মে ২০২৪
![](https://www.pirojpursongbad.com/media/imgAll/2024May/cover-20240518153425-2405191316.jpg)
হাঁপানি, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ ও অন্যান্য শ্বাসনালির সংক্রমণজনিত রোগ তীব্র আকার ধারণ করলে নেবুলাইজার ব্যবহার করা হয়। রোগী যখন ইনহেলারের মাধ্যমে ওষুধ নিতে ব্যর্থ হন তখন নেবুলাইজারের সাহায্যে ওষুধ প্রয়োগ করা হয়।
অনেকের মধ্যেই একটি ভুল ধারণা আছে যে, নেবুলাইজার বা ইনহেলার হলো বিশেষ ধরনের ওষুধ। তবে প্রকৃতপক্ষে নেবুলাইজার কিংবা ইনহেলার কোনো ওষুধ নয়, এগুলো ওষুধ প্রয়োগের বিশেষ যন্ত্র।
নেবুলাইজারের সাহায্যে সালবিউটামল, ইপ্রাট্রোপিয়াম, স্টেরয়েড প্রভৃতি বিভিন্ন ধরণের ওষুধ প্রয়োগ করা যায়। তবে নেবুলাইজারের মাধ্যমে ওষুধ প্রয়োগের পদ্ধতি ও ব্যবহারবিধি ইনহেলারের থেকে ভিন্ন। সঠিক নিয়মে নেবুলাইজার ব্যবহার করতে না পারলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
সাধারণত তিন ধরনের নেবুলাইজার ব্যবহৃত হয়- আল্ট্রাসনিক নেবুলাইজার, মেশ নেবুলাইজার ও জেট নেবুলাইজার। আল্ট্রাসাউন্ড দিয়ে ওষুধের তরল উপাদানকে অ্যারোসলে রূপান্তরিত করে শ্বাসনালিতে পাঠানো হয় আল্ট্রাসনিক নেবুলাইজারে।
আর মেশ নেবুলাইজারে মেশ বা জালের সাহায্যে তরল ওষুধ অ্যারোসলে পরিণত করে শ্বাসনালিতে পাঠানো হয়। তবে সহজলভ্য ও পরিচালনা পদ্ধতি সহজ বলে আমাদের দেশে জেট নেবুলাইজার বেশি ব্যবহৃত হয় ও জরুরি প্রয়োজনে তা বাসা-বাড়িতেও ব্যবহার করা যায়।
আমরা যে নেবুলাইজার ব্যবহার করি তা আসলে জেট নেবুলাইজার। নেবুলাইজার ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ অপরিহার্য।
জেট নেবুলাইজারের বেশ কয়েকটি অংশ থাকে। নেবুলাইজারে কমপ্রেসরের মাধ্যমে চাপযুক্ত বাতাস প্রয়োগ করা হয়। টিউবটি হয় প্লাস্টিকের তৈরি, যা কমপ্রেসরকে নেবুলাইজারের ওষুধ চেম্বারের সঙ্গে যুক্ত করে। আর নেবুলাইজারে ওষুধ চেম্বারের তরল ওষুধটি অ্যারোসল বা স্প্রেতে রূপান্তরিত হয়।
নেবুলাইজারের মাধ্যমে ওষুধ প্রয়োগের জন্য প্রথমে রোগীকে আরামদায়কভাবে আধশোয়া বা বসা অবস্থায় রাখতে হবে। এবার নির্দেশনা অনুযায়ী নেবুলাইজারের অংশগুলো জোড়া দিয়ে নেবুলাইজারকে কার্যক্ষম করতে হবে।
প্রতি স্প্রেতে ২৩ মিলি পানি, সঙ্গে বয়স ও ওজন অনুসারে ১ থেকে ৫ মি.লি. সালবিউটামল সলিউশন ও প্রয়োজনে ইপ্রাট্রোপিয়াম দ্রবণ (৫ মিলি) নিতে হয়। সাধারণত ৩-৬ মিলি তরল ওষুধের মিশ্রণ ৫-১০ মিনিট যাবত নেবুলাইজ করা হয়। এক্ষেত্রে কমপ্রেসরটিতে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিয়ে সুইচ অন করতে হবে। এতে বাতাস দ্রুত প্রবাহিত হবে।
এরপর ওষুধের অ্যারোসল মাউথপিস (টিপিস) বা মাস্ক দিয়ে রোগীর মুখে নিঃশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে দিতে হয়। মাউথপিস ব্যবহার করলে রোগীকে এটি দাঁতের ফাঁকে রেখে ঠোঁট বন্ধ করে রাখতে হবে। নেবুলাইজ করার সময় রোগীকে ধীরে ধীরে ও লম্বা শ্বাস নিতে হবে।
একবার ব্যবহারের পর কিছু পরামর্শ মেনে নেবুলাইজার পরিষ্কার করা উচিত। নেবুলাইজার মেশিনটি সঠিকভাবে পরিষ্কার না করা হলে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকঘটিত সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
এজন্য ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেবুলাইজারের কমপ্রেসর, টিউব, মাউথপিস বা মাস্ক ও নেবুলাইজার আলাদা করে ফেলে মাউথপিস বা মাস্ক ও নেবুলাইজার গরম পানিতে ৩০ সেকেন্ড রেখে ধুয়ে নিয়ে বাতাসে এগুলো শুকিয়ে নিতে হবে।
এক্ষেত্রে সিরকা ও পানির মিশ্রণও ব্যবহার করা যেতে পারে। কমপ্রেসর, টিউব সাধারণত গরম পানি দিয়ে ধোয়া যায় না। টিউবের বাইরের দিকটা শুধু পরিষ্কার করা যায়। মাউথপিস বা মাস্ক ছয় মাস পর পর বদলানো উচিত।
নেবুলাইজার হাঁপানি ও সিওপিডি আক্রান্ত রোগীদের নিয়মিত ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ এটি কোনো দীর্ঘমেয়াদি কোনো চিকিৎসাপদ্ধতি নয়। এতে রোগীর শ্বাসকষ্টের সাময়িক উপশম হয় মাত্র। একবার বা দুইবার নেবুলাইজ করার পরও শ্বাসকষ্ট না কমলে রোগীকে নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়া উচিত।
কখনো কখনো নেবুলাইজ করার শুরুতে রোগীর শ্বাসনালি তাৎক্ষণিকভাবে সংকুচিত হয়ে পড়ে, তখন রোগীকে অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজনও পড়তে পারে। সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে এটি জীবনরক্ষাকারী একটি ডিভাইসে পরিণত হয়।
- জ্বরসহ কোন কোন লক্ষণ ডেঙ্গুর ইঙ্গিত দেয়
- বর্ষায় ছত্রাকের সংক্রমণ এড়াতে কী কী করবেন?
- খাসির গ্রিল সালাদ রেসিপি
- মেটার এআই চ্যাটবট ফেসবুকে যেভাবে সাহায্য করবে
- তাপপ্রবাহের সঙ্গে ভ্যাপসা গরমও অব্যাহত থাকতে পারে
- ছাগলকাণ্ডের মতিউরের হদিস মিলেছে, যা জানালেন তিনি
- ড. ইউনূস কর ফাঁকি দিয়েছেন, তা আদালতে প্রমাণিত: প্রধানমন্ত্রী
- শাহরুখের পর ভাইজানকে নিয়ে চমক দেখাবেন অ্যাটলি
- অষ্টম শ্রেণি চালুর জন্য প্রস্তুত ১৫৪ স্কুল
- দেশে ফিরেছেন ১৪৮১৬ জন, হজ করতে গিয়ে ৪৭ বাংলাদেশির মৃত্যু
- ‘শেখ হাসিনা দেশ বিক্রি করে না’
- সীমান্তে হত্যা শূন্যে নামাতে আলোচনা করেছি: প্রধানমন্ত্রী
- বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হলো আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা সাকলায়েনকে
- নরেন্দ্র মোদিকে মমতার চিঠি : যা বললেন শেখ হাসিনা
- ভুটানে বাংলাদেশি পাটজাত পণ্যের প্রদর্শনী সেন্টার উদ্বোধন
- স্বপ্নজয়ের দুই বছর, পদ্মা সেতুতে ১৭শ’ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়
- ব্যবসায়ী নাসিরের মামলায় পরীমণির জামিন
- ইউরোপে তো কোনো বর্ডার নেই, তারা কি বিক্রি হয়ে গেছে?
- দেশের সব নাগরিকের ন্যায্য বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে
- মারা গেছেন জল্লাদ শাহজাহান
- ‘শরীফার গল্প’ বাদ, পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হবে নতুন গল্প
- সেনাবাহিনী প্রধানের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন
- বাজারে বিক্রির সময় সরকারি ৩০ বস্তা সার জব্দ, তদন্ত কমিটি গঠন
- ভেদরগঞ্জে জেলেদের মাঝে ছাগল বিতরণ
- বানারীপাড়ায় যৌন কামনার অভিযোগে নরপশু বিএনপি নেতা গ্রেফতার
- চরফ্যাশনে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকে ভ্রাম্যমাণ অভিযান
- পটুয়াখালীতে কৃষকের জালে ধরা পড়লো রাসেল ভাইপার সাপ
- অভিন্ন নদীর টেকসই ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
- দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার পথ নিয়ে আলোচনা করেছি
- প্রস্তাবিত বাজেট ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথ
- রিমালে বেশি আক্রান্ত ১০ জেলা, ক্ষয়ক্ষতি বেশি কৃষিতে
- মঠবাড়িয়ায় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ খামারীদের মাঝে গো-খাদ্য বিতরণ
- মঠবাড়িয়ায় উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা
- ধেয়ে আসছে রেমাল, ১৬ জেলায় ১২ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা
- ভোটারদের জন্য রান্না করা গরুর মাংস গেল এতিমখানায়
- তীব্র গরমে ঘরের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ঠান্ডা রাখবেন যেভাবে
- মঠবাড়িয়া উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে
- মাত্র দুই মিনিটে ঝকঝকে নখ!
- বন্যা কবলিত এলাকায় এইচএসসি পরীক্ষা পরে: শিক্ষামন্ত্রী
- সব অফিস-আদালতে ই-সিগনেচারের বিধান নিশ্চিতে হাইকোর্টের রুল
- মঠবাড়িয়ায় ১৫০ কি.মি. বিপর্যস্ত গ্রামীণ সড়ক সংস্কার করবে এলজিইডি
- ঝড়ের সময় যে দোয়া পড়তেন নবিজি (সা.)
- ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার অগ্রযাত্রায় মার্কিন ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
- ডাচদের হারিয়ে সুপার এইটের স্বপ্ন রাঙাতে চায় বাংলাদেশ
- মাছের বিরিয়ানি রাঁধবেন যেভাবে
- ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ায় যুবক গ্রেপ্তার
- আশ্রয়ণের ঘর দিয়েছে আত্মবিশ্বাস, বদলে গেছে জীবন
- আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা
- ঘুমের মধ্যে পায়ে টান ধরা ম্যাগনেশিয়াম ঘাটতির লক্ষণ নয় তো?
- বলেশ্বর নদী ভাঙন রোধে ৮৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জিও ব্যাগ ফালানো হচ্ছে