• শুক্রবার ০৫ জুলাই ২০২৪ ||

  • আষাঢ় ২১ ১৪৩১

  • || ২৭ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫

পিরোজপুর সংবাদ

মঠবাড়িয়ায় শিশু বলৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার

পিরোজপুর সংবাদ

প্রকাশিত: ২ জুলাই ২০২৪  

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোর রাজপাড়া গ্রামের আঃ আজিজ জোবায়দা মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিশু ছাত্র (৯) কে বলৎকারের অভিযোগে মুছা (২৮) নামে এক শিক্ষক গ্রেপ্তার হয়েছে। মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ বোরবার (৩০ জুন) বিকেলে ওই মাদ্রাসা থেকে মুছাকে আটক করেন। মাদ্রাসা কমিটির প্রাথমিক বিচার ও বৈঠকে অভিযুক্ত হাফেজ মোঃ মুছা ঘটনার সত্যতা অকপটে স্বীকার করেছেন বলে প্রধান শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমান নিশ্চিত করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষক মুছার বাড়ি গোপালগঞ্জ বলে জানা গেছে।

শিশুটির বাবা জানান, গত ৭/৮ মাস আগে তার ছেলেকে কুরআনের হাফেজ বানানোর জন্য বেতমোর বাজার সংলগ্ন “আঃ আজিজ জোবায়দা মাদ্রাসা ও এতিমখানায়” ভর্তি করেন। গত ১৭ জুন কোরবানীর গভীর রাতে শিক্ষক মুছা মুখ চেপে দুই বার শিশুটিকে বলৎকার করে। সকালে এক প্যাকের গোস্ত সহকারে শিশিুটিকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এ ঘটনা কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। তিনি আরও বলেন, তার সন্তান বাড়িতে গেলে অস্বাভাবিক মনে করেন এবং অসুস্থ্য দেখতে পান। প্রাথমিক ভাবে জানতে চাইলে কিছু না বলে শিশুটি কান্না করে বলে ওই মাদ্রাসায় আর যাবে না। পরে শিশুটির দাদী জিজ্ঞেস করলে সব কিছু খুলে বলে। সব কিছু শোনার পর ঈদের দিন তাদের পরিবারে যেন ভূমিকম্প ও বজ্রপাত শুরু হয়। সবকিছু ফেলে শিশুটিকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পুলিশকে সংবাদ জানানোর কথা বলেলে ডাক্তারের কাছে অনুরোধ করেন তাদের টাকা-পয়সা নেই, পুলিশ কেসে যাবেন না।  শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে যান। বিষয়টি ব্যাপক জানাজানি হলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বিচার করার আশ^াস দেন। গতকাল বোরবার (৩০ জুন) বিকেলে মাদ্রাসার হলরুমে শালিশ ব্যবস্থা বসলে লম্পট শিক্ষক মুছা ঘটনা স্বীকার করে। পরে মারধর করা হয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ মুছাকে ধরে নিয়ে যায়।

“আঃ আজিজ জোবায়দা মাদ্রাসা ও এতিমখানায়”র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ ইসমাইল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই শিক্ষকে বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মঠবাড়িয়া থানার ওসি মোঃ আশিকুজ্জামান বলেন, শিক্ষক মুছার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে সোমবার (১ জুলাই) বিকেলে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।